হার্টের রিং পরানোর খরচ কত এবং এনজিওগ্রামের খরচ বিস্তারিত

Admin
0
হার্টের রিং পরানোর খরচ কত এবং এনজিওগ্রামের খরচ বিস্তারিত

হার্টের রিং পরানোর খরচ কত এবং এনজিওগ্রামের খরচ বিস্তারিত

আজকে আমরা এখানে কথা বলেছি হার্টের রিং পরানোর জন্য কত টাকা খরচ লাগে এবং হার্টের রিং এর মেয়াদ কতদিন থাকে এবং কোথায় করাবেন কিভাবে করাবেন এ বিষয়গুলো নিয়ে। মূলত প্রতিনিয়ত হার্টের রিং পরানোর এ বিষয়গুলো অনেকেই জানতে চেয়েছেন তাই আজকে আমরা এখানে উল্লেখ করেছি।

হার্টের রিং এর মেয়াদ

হার্টের রিং, যা স্টেন্ট নামেও পরিচিত, সাধারণত ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে। তবে এটি রোগীর স্বাস্থ্য, জীবন মান এবং ব্যবহৃত স্টেন্টের গুণগত মানের উপর নির্ভর করে থাকে। ড্রাগ-এলুটিং স্টেন্ট বেশি সময় ধরে কার্যকর থাকে এবং এটি ধমনীর পুনরায় ব্লক হওয়া প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যালান্সড ডায়েট এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে স্টেন্ট দীর্ঘ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মেডিকেল থেকে এই ট্রিটমেন্ট নিলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এর সুবিধা পাওয়া যায় পর্যায়ক্রমে আমরা আজকে এখানে হাটের রিং কোনটা ভালো এবং কত টাকা খরচ পড়ে এবং কোথায় করাবেন এগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে নিচে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি।

হার্টের রিং পরানোর খরচ কত?
হার্টের রিং পরানোর খরচ রোগীর হাসপাতাল, ডাক্তার এবং ব্যবহৃত স্টেন্টের উপর নির্ভর করে। সাধারণত ৬০,০০০ থেকে ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্টেন্টের দাম হয়। তবে হাসপাতাল ও অন্যান্য চিকিৎসা খরচ যোগ করলে ১,৫০,০০০ থেকে ৫,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে তুলনামূলক কম খরচে এ চিকিৎসা পাওয়া গেলেও, বেসরকারি হাসপাতালে খরচ বেশি হয়।

তুমি যদি আপনি উন্নত মানের ট্রিটমেন্ট নেওয়ার জন্য দেশের বাহিরে যান তাহলে এই খরচ কিন্তু আরো বেশি পরিমাণ হতে পারে। মূলত এখানে আরো অনেক ধরনের বিষয় আছে এখানে যাতায়াত খরচ এবং ভিসা পাসপোর্ট সহ আরো অন্যান্য সকল ধরনের খরচ মিলিয়ে অনেক টাকায় খরচ পড়ে যায়।

এনজিওগ্রাম ও হার্টের রিং এর মূল্য তালিকা ২০২৫

২০২৫ সালে হার্টের রিং এবং এনজিওগ্রামের কত টাকা খরচ হয় এই নিয়ে আজকে আমরা নিচে একটি মূল্য তালিকা তুলে ধরেছে তবে এগুলো মেডিকেল অনুযায়ী কিন্তু খরচ ভিন্ন হতে পারে:

স্টেন্টের ধরন দাম (টাকা)
বেয়ার মেটাল স্টেন্ট (BMS) ৭০,০০০ – ১,০০,০০০
ড্রাগ-এলুটিং স্টেন্ট (DES) ১,০০,০০০ – ২,৮০,০০০
প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ২,৮০,০০০ – ৩,৫০,০০০

হার্টের রিং কোনটা ভালো?

বর্তমানে এই অসুস্থতার জন্য বিভিন্ন ধরনের হার্টের রিং বা স্টেন্ট পাওয়া যায়, তবে রোগীর শারীরিক বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী সঠিক স্টেন্ট নির্বাচন করতে হয়। বেয়ার মেটাল স্টেন্ট কম দামের হলেও পুনরায় ব্লক হওয়ার ঝুঁকি থাকে এটিতে। ড্রাগ-এলুটিং স্টেন্ট বেশি কার্যকর কারণ এতে বিশেষ ওষুধ থাকে যা ধমনীতে ব্লক প্রতিরোধ করে থাকে। বায়োরিসর্‌বেবল স্টেন্ট ধীরে ধীরে শরীরে মিশে যায়, তবে এটি এখনো অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

এছাড়াও রোগের পরিস্থিতি অনুযায়ী ডাক্তার বলে থাকে তার কি ধরনের ঋণ পরানো উচিত এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ মূলত বিশেষ টিমের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে রোগের পরিস্থিতি অনুযায়ী ঋণ পরানো হয়ে থাকে তাই অবশ্যই ডাক্তারকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন।

এনজিওগ্রাম খরচ কত ২০২৫ বাংলাদেশ?

বাংলাদেশে এনজিওগ্রামের খরচ হাসপাতালের মান ও অবস্থানের উপর নির্ভর করে। নিচে এখানে আমরা পর্যায়ক্রমে সরকারি বেসরকারি এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে খরচ কত তা উল্লেখ করলাম।

সরকারি হাসপাতালে খরচ ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা।
বেসরকারি হাসপাতালে খরচ ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা।
বিশেষায়িত হাসপাতালে খরচ ৪০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা।।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ এবং হাসপাতালের সেবার উপর নির্ভর করে এ খরচ কম-বেশি হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি আরো ভালো মানের মেডিকেলগুলোতে বিশেষ সুবিধা নিয়ে ট্রিটমেন্ট নিতে চান সেক্ষেত্রে কিন্তু খরচের কম বেশি হতে পারে তাই অবশ্যই এ বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।

হার্টে রিং পরানোর অসুবিধা

হার্টের রিং পরানোর কিছু অসুবিধা রয়েছে, যা রোগীদের জানা জরুরি। স্টেন্ট বসানোর পরেও ধমনীর আবার ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে, বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও ধূমপান করলে অসুবিধা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক অংশে বেড়ে যায়। এছাড়া, স্টেন্ট বসানোর পর আজীবন রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণ করতে হয়, যা কিছু রোগীর জন্য সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও, কিছু রোগীর শরীরে স্টেন্টের উপাদান সহ্য না হলে সংক্রমণ বা এলার্জি দেখা দিতে পারে যে অনেকটাই অস্বস্তিকর বিষয়।

হার্টের রিং কিভাবে পড়ানো হয়?

হার্টের রিং কিভাবে পড়ানো হয় তার একটি লিস্ট আমরা নিচে উল্লেখ করলাম এখান থেকে আপনারা ধারণা পাবেন হার্টের রিং পরানোর জন্য কি কি করা হয়।

  • রোগীর হাত বা কুঁচকির ধমনীর মাধ্যমে একটি ক্যাথেটার প্রবেশ করানো হয়ে থাকে।
  • ধমনীতে ব্লক থাকা স্থানে ক্যাথেটার পৌঁছানো হয় এবং সেখানে একটি বেলুন ফোলানো হয়।
  • স্টেন্টটি ধমনীর ভিতরে বসানো হয়, যা রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে।
  • স্টেন্ট বসানোর পর বেলুন সরিয়ে ফেলা হয় এবং ধমনীর পথ খুলে যায়।
  • পুরো প্রক্রিয়াটি এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হয়, আগে এই সময় বেশি লাগতো।

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)